শিক্ষক সঙ্কট নিরসন ও পরিবহন ব্যবস্থা চালুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৭ জুন সকালে ) তারা আন্দোলনের শুরুতেই অকার্যকর এই প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেয়, এ সময় তারা প্রতীকি অনশন পালন করে।
২০০১সালে প্রতিষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই কৃষি প্রতিষ্ঠানে ১৬জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র দুইজন শিক্ষক কর্মরত আছেন, অথচ শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৭০। শিক্ষার্থীরা জানায় বার বার দাবি জানিয়ে আসা সত্ত্বেও দীর্ঘ ২ বছরেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে শিক্ষক সংকট নিরসন, রাস্তায় স্পিড ব্রেকার স্থাপন ও পরিবহন ব্যবস্থার ৩দফা দাবীতে অনশন কর্মসূচী পালন করে।
শিক্ষার্থীরা জানায় অধ্যক্ষের অব্যবস্থাপনার কারনে এইসব শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছেন। তারা বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা যখন এসেছিলো তাদেরকেও এ সমস্যার কথা জনিয়েছি কোন সমাধান হয়নি। তারপর কয়েকবার মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েও কাজ হয়নি।
কিছুদিন পর আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল ক্লাস না করলে পরিক্ষার খাতায় কি লিখবো। অনেকসময় অনেক দূর দূরান্ত থেকে এসে আমরা একটি ক্লাস ও করতে পারি না। মাঝে মধ্যে দেখা যায় ১জন শিক্ষক আমাদের ৫/৬টি ক্লাস নিচ্ছেন। কোন কোন সময় ১জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লে পুরো সপ্তাহে কোন ক্লাসই হয়না। আমরা শিক্ষক চাই ক্লাস করে পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চাই।
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়- আমাদের প্রতিষ্ঠানটি শহর থেকে বাহিরে হওয়ায় পরিবহনের অভাবে আমাদের গাড়ি পেতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। প্রতিষ্ঠানটি রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে হওয়ায় যেকোন সময় দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে আমরা এ সমস্যার কথা দীর্ঘদিন যাবৎ জানিয়ে আসলেও অধ্যক্ষ কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। আমাদের দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই কর্মসূচী চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ’র সাথে কথা বললে তিনি দায়সারা জবাব দেন, তিনি বলেন- আমি উপরের অনুমতি ছাড়া ক্যামেরার সামনে কথা বলেতে পারবো না। কারণ আপনি টিভিতে দিবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে দায়ী করবে।
Discussion about this post