নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ির ফকিরাঘোনা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিলেন কলাতলীর দেলোয়ার হোসেনের। এ ঘটনার প্রায় দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে ২১ ডিসেম্বর, সোমবার সকাল ১১টার দিকে নিহত দেলোয়ারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সিআইডির দেয়া তথ্য মতে, শহরের কলাতলীর শহরতলীতে মৃত কালা মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন গত ২৯ অক্টোবর মিঠাছড়িতে তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। পরদিন ৩০ অক্টোবর রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কর্তৃক তাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। হত্যার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সে আত্মহত্যা করেছে বলে তার বাপের বাড়িতে খবর দেয়।
নিহত দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই সরওয়ার কামাল জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে দেলোয়ারের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখি লাশ রান্না ঘরে পড়ে আছে। পরে লাশ সেখান থেকে উদ্ধার করে কলাতলীতে এনে দাফন করি। এ ঘটনার পরে নিহত দেলোয়ারের শ্বশুরবাড়িবাড়িতে গিয়ে পরদিন তার রক্তাক্ত জামা কাপড় পেয়ে সন্দেহ জাগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
কক্সবাজার জেলা সিআইডি সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় সরওয়ার কামাল বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রামু-১’এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- সিআর-২৬২/২০২০।
আদালত এই মামলা তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেয় আদালত। দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে অবশেষে ২১ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশেই মৃত দেলোয়ার হোসেনের লাশ মধ্য কলাতলীর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করার পর ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।
Discussion about this post