বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাষ্টার মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল। আলোচিত মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর মাঠ পর্যায়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন প্রতিনিধিদলটি।
কক্সবাজারে দুই দিনের সফরের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিন শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১-ইস্টে পৌঁছান প্রতিনিধি দল।
সেখানে তারা সরেজমিনে মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস এর কার্যালয় পরিদর্শণ করেন।
এসময় পররাষ্ট্র সচিব নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহর সঙ্গে কথা বলেন। পাশা পাশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা স্থানীয় রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এরপর, প্রতিনিধিদলটি ক্যাম্প প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে ক্যাম্প-৪ ইনচার্জ এর কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ছাড়াও আছেন, পশ্চিম ইউরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাপরিচালক ফায়াজ মুর্শিদ কাজি, পররাষ্ট্র সচিবের দফতরের মহাপরিচালক মো. আলীমুজ্জামান ও সহকারী সচিব শোয়াইব-উল ইসলাম তরফদার। শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে বিমানযোগে কক্সবাজারে পৌঁছায় প্রতিনিধিদলটি।
এসময় কক্সবাজার বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনার কারণ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে কোনো মহলের প্ররোচনা রয়েছে কিনা সেটাও জানার চেষ্টা চলছে, এটি একটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’।
কক্সবাজারের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, “সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেন কেউ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সে জন্য সরকারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সব কিছু তদন্ত করা হচ্ছে।”
মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ থেকে এটিই প্রথম সফর।
শনিবার বিকেলে বিমানযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে। এরপর ঢাকায় ফিরে গণমাধ্যম এবং কূটনীতিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে পরিদর্শণ নিয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্র সচিব।
Discussion about this post