কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং মধুরছরা ৪ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় ক্যাম্পের হেড মাঝিসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়া কুতুপালং মধুরছরা ৪ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে রাতে ক্যাম্প ৪ (চার) এর হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন রাত ৮ টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাত খাওয়ার সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিতে ৪ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন (৫২), একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মো: পেঠান আলী (৪১) ও নুর হোসেন (৩৬) গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নঈমুল হক।
পুলিশ সুপার নইমুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান এপিবিএন এর অধিনায়ক।
এদিকে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, উখিয়ার কুতুপালং ৪ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়ে ৩০ সদস্যের পুলিশের একটি টিম ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছে। অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
Discussion about this post