নিজস্ব প্রতিবেদক:
উপাআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্কাসের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা উপাআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উদ্যোগে ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।
এসময় তিনি স্কাস পরিচালিত রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাকেন্দ্র (লার্নিং সেন্টার) ও বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গা শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে উখিয়া উপজেলার শফিউল্লাহ কাটা ১৬ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।
তার আগে ক্যাম্পে যাওয়ার সময় সকালে স্কাসের উখিয়া অফিস পরিদর্শনে আসেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্কাসের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবসেবার পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে হবে। তা নাহলে শিশু ও কিশোর বয়সের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাবে। আর রোহিঙ্গা শিশুরা যেন কিছুতেই বাংলা ভাষায় পড়াশোনা না করে। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে। তারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের ভাষা ও ইংরেজি ভাষা শিখবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে ততদিন তাদের শিশুদের সুরক্ষা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশা পাশি শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
পরিদর্শনকালে তিনি স্কাসের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বার্মিস ল্যাঙ্গুয়েজ ইন্সট্র্যাক্টরদের বিভিন্ন প্যাডাগোজি বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শিক্ষকদের বার্মিস ও ইংরেজী বিষয়ে ভালভাবে পড়ানোর তাগিদ দেন। এ সময় স্কাসের রোহিঙ্গা শিশু শিক্ষা প্রকল্পের সমন্বয়কারী হিমাদ্রী প্রসাদ মিস্ত্রী প্রকল্প ও রোহিঙ্গা শিক্ষকদের গুরত্বসহ ও অন্যান্য সকল বিষয় তুলে ধরেণ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্কাসের কার্যক্রম নিয়ে মো. আতাউর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ও ইউনিসেফের সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশ সরকারের উপাআনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্প ক্যাম্পেও চলমান রয়েছে। তাই এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান।
পরিদর্শনের সময় সাথে ছিলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ডি ডি রিপন কবির লস্কর, ১৬ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, প্রশাসক মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দীন, রোহিঙ্গা শিশু শিক্ষা প্রকল্পের সমন্বয়কারী হিমাদ্রি প্রসাদ মিস্ত্রী, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন।
তাছাড়াও স্কাসে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post