জসিম উদ্দীন:
কক্সবাজারের টেকনাফে ২২নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ৫ জন রোহিঙ্গা নেতা (হেড মাঝি) নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১০ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফের ২১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) কার্যালয়ে মিটিং করতে গিয়ে তারা নিখোঁজ হয়েছেন বলে দাবি করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজদের মধ্যে আছেন- ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাসের হোসেনের ছেলে ও ক্যাম্পের হেড মাঝি রফিক, নজু মিয়ার ছেলে এ-ব্লকের হেড মাঝি ইউসুফ, জুলফিকার আলীর ছেলে বি-ব্লকের হেড মাঝি আবু মুসা, নুরুল হাকিমের ছেলে ও সি-ব্লকের হেড মাঝি আমানুল্লাহ এবং হারুনের রশিদের ছেলে ডি-ব্লকের হেড মাঝি সাব্বির।
ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা জানায়, বুধবার সকাল ১১টায় টেকনাফের ২১ নং চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ সভায় যোগদান করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তারা। ওইদিন দুপুর ২টায় মিটিং শেষ হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাদের কেউ বাড়িতে ফিরে আসেননি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এখনও বন্ধ রয়েছে।
পরিবারের স্বজনদের দাবি, নিখোঁজ রোহিঙ্গা নেতারা বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যদের বিষয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন। তাই রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা প্রতিশোধ নিতে তাদের অপহরণ করেছে বলে তাদের ধারণা।
৫ জন রোহিঙ্গা নেতা নিখোঁজের বিষয়টি স্বীকার করে ২১-২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) রাশেদুল হাসান বলেন, ‘তারা আমার সাথে মিটিং করতে এসেছিল, তা সঠিক নয়। ক্যাম্প-২২ এর রাস্তার কাজ চলছে। সেখানে সেনাবাহিনীর সাথে মাসিক বৈঠকে তারা এসেছিল।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা মাঝিদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করার পরপরই সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজদের সন্ধান লাভের চেষ্টা করছে।’
এ ব্যাপারে ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন’র ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ সভায় গিয়ে এই ক্যাম্পের ৫ জন হেড মাঝি নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
টেকনাফ মডেল থানার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হালিম বলেন, ‘৫ জন রোহিঙ্গা নেতা নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছি। তাদের উদ্ধারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
Discussion about this post