নিজস্ব প্রতিবেদক •
রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম নামে সন্দেহভাজন আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
১৪ এপিবিএনের পুলিশ সুপার নাঈমুল হক শনিবার (২ অক্টোবর) সকালে দুই রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি দল উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটক দুই জনকে রাতেই উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এরও আগে, শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে এপিবিএনের সদস্যরা মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিমকে আটক করেছিলেন। পরে তাকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় তিন রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে মুহিবুল্লাহ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। পরে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জেলা পুলিশ ও এপিবিএনের টহল বাড়ানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।
বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা (মামলা নম্বর- ১২৬, তারিখ-৩০/০৯/২০২১) দায়ের করেন।
Discussion about this post