নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া:
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী সাদ্দাম। সম্প্রতি প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করেছেন তাকে। তবে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তিনি।
ফেসবুকের এক মন্তব্যে তিনি বলেন – ” লাইসেন্সের কোন কাজ নাই, লাইসেন্স লাগবে না টাকা দিলে।” এতে সমালোচনার সৃষ্ট হয়েছে। এর আগে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদনবিহীন ব্যাটারির পানি উৎপাদনের দায়ে সাদ্দামকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন। এরপরই ফেসবুকে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) তার অনুমোদনহীন কারখানায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই ও উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি সাদ্দামের অবৈধ ব্যাটারির পানি বাণিজ্য। কৌশল পাল্টে উখিয়ার ডিগলিয়া পালংয়ের চাইরাকাঠির কারখানায় উৎপাদন কমিয়ে উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন দোকান ঘর লাগোয়া টিনশেডের ঘরে উৎপাদন অব্যাহত রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
উখিয়া ভূমি অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের দাবী, অভিযানের পর তদবির নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র কাছে গিয়েছিলেন সাদ্দাম। তবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নি। ফলশ্রুতিতে ফেসবুকে তিনি এই দাম্ভিক উক্তি করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ প্রতিবেদক কে জানান, ” সাদ্দামকে জরিমানার সাথে সতর্কতা করা হয়েছিলো। এরপরও যদি প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন অব্যাহত রাখে তাহলে কারাদণ্ডসহ কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ফেসবুকে মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাদ্দাম মুঠোফোনে প্রতিবেদক কে জানান, তাঁর বিভিন্ন কাগজপত্র আছে, তবে তিনি স্বীকার করেন বিএসটিআই এর অনুমোদন নেই তার কাছে এবং প্রয়োজন নেই মনে করে সংগ্রহ করেননি। তিনি আরো জানান, অর্থদণ্ড পেয়ে বর্তমানে তিনি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।
Discussion about this post