অনলাইন ডেস্ক •
চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হলসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে শনিবার (১৬ অক্টোবর) অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে হামলার প্রতিবাদে প্রতিমা বিসর্জন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর জেএম সেন হলের সামনে এক পথ সভায় এ ঘোষণা দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
এসময় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাজপথে থাকতে হবে। যতক্ষণ না দোষীদের শাস্তি হয়।’ পাশাপাশি রাজপথ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আশিশ কুমার ভট্টাচার্য জানান, পুলিশের অসতর্কতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। নামাজের পরে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ থেকে কিভাবে মিছিল বের হলো। এজন্য পুলিশকেই দায়ী করেন তিনি। এ সময় তিনিও প্রতিমা বিসর্জন না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ থেকে একটি দল মিছিল নিয়ে নগরীর জেএম সেন হলের দিকে আসে। এসময় উচ্ছৃঙ্খল কিছু লোক মণ্ডপের দিকে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। এদিকে, মণ্ডপে থাকা পূজার্তিরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে দাঙ্গা পুলিশ ও সাঁজোয়া যান আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে গুলি ছোড়ার কথা জানান কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন। ৫০ জনকে আটকের কথা জানান তিনি।
শেষ খরব পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়ক ব্যারিকেড দেওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আন্দরকিল্লাসহ নগরীর নানা মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
Discussion about this post