কক্সবাজারের টেকনাফে মসজিদ কমিটিতে পদ না পেয়ে খতিবকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। খতিবকে মারধরের ভিডিও ধারণ করায় ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদ কে মারধর করেছে অভিযুক্তরা। এসময় সংবাদকর্মী ফরহাদের কাছে থাকা দুটি মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ছুরিকাঘাত করা হয়।
গত (২মে) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আল মাদ্রাসাতুল মুহিউচ্ছুন্নাহ মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৮দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো অভিযুক্তরা ওই সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এখন হামলাকারীরা ওই সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদের সামনে উস্কানিমূলক কথাবার্তা ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক পরিবার।
সর্বশেষ সোমবার (৯মে) সাংবাদিকের উপর হামলাকারী আকতার উপজেলার হোয়াইক্যং উনছিপ্রাং বাজারে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে চিৎকার দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন চিৎকার দিয়ে বলেন” তারে (সাংবাদিক) মার দিয়েছি যে সেটা কম হয়েছে এবার গ্রামে আসলে আবারো মারবো। সাংবাদিক মারলে কিছু হয় না, পুলিশ আমাদের বলে দাবী করেন তিনি”।
এদিকে টেকনাফ মডেল থানায় আগের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কেনো ব্যবস্থা নেয়নি তা জানতে চাইলে দায়সারা উত্তর দেয় পুলিশ।
ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাইদুল ফরহাদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সোমবার বিকাল ৩ টায় কক্সবাজার পৌরসভার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টাস ইউনিটি কক্সবাজার, সাংবাদিক সংসদ , জাতীয় খেলাঘর আসরসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।
রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদের ওপর টেকনাফ হোয়াইক্যং উনছিপ্রাং এলাকার আকতার ও আবু তৈয়বের সন্ত্রসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উক্ত ঘটনা আহত সাংবাদিক টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরও কোন ধরনের আইনগত সহযোগিতা না করার বিষয়টি দুঃখজনক। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, মারধরের শিকার ওই সাংবাদিক কোন অফিসারের কাছে অভিযোগটি করেছে সেটা আমাকে একটু জানান আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে আশ্বস্ত করেছেন।
Discussion about this post