বিডি দর্পণ ডেস্ক :
ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে বিতর্কিত ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমির হামজাকে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে আদালতে হাজতখানা রাখা হয়েছিল।
সোমবার (২৪ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি টিম আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, মুফতি আমির হামজার বিরুদ্ধে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে তদন্তাধীন একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে (আমির হামজা) কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
৫ মে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টারত সাকিব নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাকিবকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান উসামা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানায়, সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘সাকিব মোবাইল ফোনে উগ্রবাদ বার্তা সংবলিত ভিডিও প্রচারকারী আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদী জিহাদি হামলার বার্তা সংবলিত ভিডিও দেখে উগ্রবাদে আসক্ত হয়। এজাহারে মুফতি আমির হামজার নাম ছিল বলেই তাকে আটক করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক হেফাজতের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আমির হামজা। তবে শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন গোয়েন্দা পুলিশ।
ওয়াজ-মাহফিল ও ইউটিউবে উগ্রবাদ প্রচার করার অভিযোগে ২০১৯ সালের মার্চে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে ১৫ জন ইসলামি বক্তার একটি তালিকা তৈরি করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এসব বক্তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই তালিকায় আছে মাহমুদুল হাসান গুনবী ও মুফতি আমির হামজার নাম।
মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের রিয়াজ সর্দারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মুফাফসির পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
Discussion about this post