নিজস্ব প্রতিবেদক :
বয়সের ভারে ন্যুব্জ আছিয়া বেগম (৮২)। বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে ভুগছেন তিনি। চিকিৎসা সেবা দূরের কথা, প্রতিদিন তিন বেলা খাবার জোটেনা তার। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো তার ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড।
আছিয়া বেগমের বসতি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিণ রনগোপালদী গ্রামে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম তারিখ ১৯৩৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ৬২ বছর বয়সে তার বয়স্ক ভাতা পাওয়ার কথা। এলাকাবাসী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আছিয়া বেগমের স্বামী মোহাম্মদ হাওলাদার মারা গেছেন ২৫ বছর আগে। সহায়-সম্পদ বলতে কিছু নেই তার। একমাত্র ছেলে বিবাহ করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যত্র বসবাস করেন। মেয়ে পারভীন বেগমের বাসায় জামাইয়ের সল্প আয়ে চলছে আছিয়ার বেঁচে থাকার যুদ্ধ।
আছিয়া বেগমের মেয়ে পারভীন বেগম জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ভাই মায়ের কোন খোঁজ নেয়নি।
তিনি আরও জানান, আমার স্বামী দিন মজুর তার স্বল্প আয়ে ছেলে সন্তান আর অসুস্থ মাকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে বেচেঁ আছি। চিকিৎসার অভাবে রোগ,শোক, অনাহারে জীবন পার করছেন আমার মা। অনেক চেষ্টা করেছি মায়ের বয়স্ক ভাতার জন্য, টাকা দিতে পারিনি তাই কার্ডও হয়নি। রনগোপালদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিকদার নাসির উদ্দিন জানান,ওই বৃদ্ধ মহিলা আমার কাছে ভাতার জন্য আসেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান, আছিয়া বেগম ভাতার জন্য আবেদন করলে চলতি অর্থবছরে ভাতার তালিকা প্রনয়নে তার নাম গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। এবং তাকে সামাজিক সুবিধা দেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বয়স্কভাতা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজীজ জানান, ঘটনাটি দু:খ জনক পরবর্তিতে নতুন নাম আসলে তাকে বয়স্কভাতা দেয়া হবে।
Discussion about this post