নিজস্ব প্রতিবেদক:
নামে মিল থাকার কারণে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার আসামী হলেন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক বশির আহমদ আজাদ। সে রাজাপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ ফলিয়া পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। মামলা পত্যহার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তার পরিবার।
সাংবাদিক সম্মেলনে, তার পরিবার দাবী করেণ, কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও উখিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক বশির আহমদ আজাদকে রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ও হয়রানি করার জন্য তার নামটি জড়িয়ে আসামী করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিকেল ৩টায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক বশির আহমদ আজাদের ছোট ভাই ও উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ মামলা পত্যহার চেয়ে উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, গত শুক্রবার আমার ভাই বশির আহমদসহ একসাথে জুমার নামাজ আদায় করি। নামাজের পরে জানতে পারি মধুছড়া এলাকায় একটি সিএনজি থেকে এবিপিএন (পুলিশ) সদস্যরা ইয়াবাসহ সিএনজি চালককে আটক করে। ঐ সিএনজিটির মালিকের নাম ছিল বশির।
অথচ, আমার ভাই বশির আহমদ আজাদের মালিকানাধীন কোন সিএনজি নেই। ইয়াবাসহ আটক সিএনজি চালক ঘটনার প্রকৃত বিষয়ে জানতে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানান প্রশাসনের কাছে।
মূলত: ঐ সিএনজির মালিকের নামের সাথে মিল থাকার কারণে এক বশিরের জায়গায় অন্য বশিরকে আসামী করা হয়েছে। তাই ঘটনার অধিকতর তদন্ত পূর্বক ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন তার পরিবার।
সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাঁশের ট্রাক প্রবেশ নিয়ে এবিপিএন (পুলিশ) কুতুপালং মধুছড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ মোজাহেরুল ইসলাম ক্যাম্পে প্রবেশ নিয়ে যুবলীগ নেতা বশিরের মতানৈক্যে ছিল। এ কারণে তাকে ইয়াবা মামলায় আসামী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মোজাহেরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল উদ্দিন সুজন বলেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বশির। তাকে প্রভাবশালীরা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ইয়াবার মত মাদক মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি উক্ত মামলার সুষ্টু তদন্ত পূর্বক যুবলীগ নেতা বশির আহমদের নাম প্রত্যাহার ও প্রকৃত ইয়াবাকারবারী সিএনজি মালিক বশিরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ওসি আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ঘটনার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। বিস্তারিত খোঁজ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি উখিয়া কুতুপালং মধুর ছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে এবিপিএন (পুলিশ) সদস্যরা একটি সিএনজি থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। সিএনজিটির নাম্বার (থ-১১-৭৮৭৫)। উক্ত ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বশিরসহ ৩জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর- ৪।
Discussion about this post