নিজস্ব প্রতিবেদক •
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের চার ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। প্রথম ধাপে গত ৩১ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৬ জুন (রোববার) পর্যন্ত ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেড জোন কার্যকর থাকবে বলে ঘোষণা করেন। পরে ৬ জুন বিকেলে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় বৃদ্ধি করে ১৩ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের এই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে রেডজোনের আওতায় ২,৫,৬ ও ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত অফিস গুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ইউনাইটেটপারপার্স, শেড, মুক্তি কক্সবাজার, ঢাকা আহসানিয়া মিশন, কোডেক, বিটা, গ্লোবাল ওয়ান, ওয়াল্ড ভিশন, জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, অগ্রযাত্রা, NRC, ব্র্যাক, প্রত্যাশী, প্লান, এনজিও ফোরাম, হেক্স, পালর্স বাংলাদেশ, কেয়ার বাংলাদেশ, কনসার্ন ওয়াল্ড, ওয়াল্ড ওইয়েড কনর্সান, কোষ্ট ট্রাষ্ট, হেলপ্ কক্সবাজার, গণউন্নয়ন কেন্দ্র, রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল, ইপসাসহ অর্ধশত এনজিও,আইএনজিও৷ এসব এনজিও, আইএনজিওদের প্রায় ৫সহস্রাধিক কর্মী রয়েছে৷
ইউএনএইচসিআর-এর অর্থায়নে পরিচালিত আইপিসিওরসও প্রকল্প সমন্বয়ক রফিকুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমরা অফিস দেখার জন্য একটু খুলেছিলাম। এসময় ৭ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত স্টাফ হাজিরা খাতায় স্টাফদের স্বাক্ষর করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ফোন কেটে দেন।
পরে ফয়সাল নামে মুক্তি কক্সবাজারের এক কর্মকর্তা প্রতিবেদককে ফোন করে চায়ের দাও দেন এবং ঐ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন বলেও জানান। একই কথা একাধিক এনজিও, আইএনজিও’র।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, রেডজোনের আওতাধীন এলাকায় শুধুমাত্র জরুরী সেবা কর্যক্রম পরিচালনা অনুমোদন আছে। যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য,খাদ্য এবং জ্বালানী। এছাড়া যদি কোন এনজিও সরকারি নির্দেশিত আইন অমান্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post