অপহৃত রোহিঙ্গা নারী ও শিশু ৬ দিন পর উদ্ধার: অপহরণ চক্রের সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফ শাপলাপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক অপহৃত রোহিঙ্গা নারী ও তার একবছর বয়সী শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অপহরণ চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫ সদস্যরা।

গত শনিবার (৩ মার্চ) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামস্থ এলাকায় মোঃ রবিউল আলম এর বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে এক অপহরণকারীকে আটক ও ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, র‌্যাব-১৫ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী।

তিনি জানান, গত ২ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখে একজন ব্যক্তি র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্প এ অভিযোগ দায়ের করেন জানান গত ২৯ মার্চ উখিয়া উপজেলার শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা থেকে কয়েকজন অপহরণকারী তার মেয়ে আমিনা খাতুন (২২) ও তার ১ বছর বয়সী শিশু কণ্যা আসমা বিবি কে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

যা পরে অপহরণকারীরা একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপন হিসেবে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা দাবি করে। অন্যথায় তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ সদস্যরা গত ৩ এপ্রিল আনুমানিক সন্দ্যা ৭ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামস্থ এলাকায় মোঃ রবিউল আলম এর বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। দীর্ঘ ৬ দিন পর অভিযানে ভিকটিম আমিনা খাতুন (২২) ও তার শিশু কণ্যা আসমা বিবি কে উদ্ধার করে।

ঘটনার সাথে জড়িত উখিয়ার পালংখালী গয়ালমারা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অপহরণ চক্রের সদস্য মোঃ সিদ্দিক এর ছেলে আসামী মোঃ রবিউল আলম (২৬) কে আটক করা হয়। ঘটনার মূল হুতা অপহরণকারী ও সন্ত্রাস মোঃ হোছন পালিয়ে যায়।

ঘটনায় ভিকটিম রোহিঙ্গা নারী আমিনা খাতুন বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট ধারা মামলা করা হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ আমিনা খাতুন তার শিশুকণ্যা আসমা বিবি (১) কে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে এনজিওর একটি হাসপাতালে যাওয়ার পথে পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহ কাটা সিআইসি অফিসের সামনে থেকে অপহরণ হয়।