কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার থাইংখালী এলাকার শীর্ষ মাদক সম্রাট জামালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২, হাজার ৪’শ পিস ইয়াবা’সহ তাকে আটক করেছে পুলিশ, তবে ইয়াবার বড় চালান ঘরে মজুত রয়েছে সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শনিবার (২৩শে জুলাই) ভোর রাতে তাকে ইয়াবাসহ আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আটককৃত জামাল উদ্দিন উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকায়। সেই এলাকায় ইয়াবার বড় মাফিয়া পরিচয় হওয়ায় গা ঢাকা দিয়ে উপজেলার জালিয়াপালং ইউপিস্থ মনখালী কোনার পাড়া ৯ নং ওয়ার্ডে, সেই একাধিক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দিয়ে থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্থা ধরতে পারেননি। তবে এর আগে ২০১৮ সালে ও ইয়াবা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানা গেছে।
পরে জেল থেকে বের হয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে,দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার চালান সরবরাহ করে আসছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মোঃ অলী ওর রহমান। তিনি জানান, শনিবার ভোরে এস’আই মহসিন চৌধুরী’র নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এ. এস. আই ইউসুফ এ. এস. আই শাফিউল্লাহ ও এ. এস. আই তাপস চন্দ্রসহ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ।
পুলিশ আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত জামালের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে, তার মধ্যে, ইয়াবার মামলা অন্যতম।
ইয়াবা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝেমধ্যে ভাড়াবাসা পরিবর্তন করে থাকে। অবশেষে রাতারাতি সরকারি খাসজমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণাধীন ঘর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, জামাল বহিরাগত একজন লোক হুট করে এসে বড় টাকার বিনিময় সরকারি খাসজমি কিনে রাতারাতি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন, তার দৃশ্যমান আয়ের উৎস না থাকলেও বিভিন্ন স্থানে তার জমিজমা রয়েছে বেশ।
তারা আরো জানান, তার কাছ থেকে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা মোটা অংকের মাসিক মাসোহারা নিয়ে তাঁকে মূলত সেল্টার দিচ্ছে বলে বিশেষ সুত্রে জানা গেছেএ ছাড়াও কক্সবাজার ও উখিয়া নামে বে নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তার ।
সচেতন মহলের দাবি, আটক জামালকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে কালো টাকার উৎস সহ ইয়াবা সিন্ডিকেটে জড়িত রাঘববোয়ালদের তথ্য উদঘাটন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
Discussion about this post