উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজার এলাকার সুপারি ব্যবসায়ী শফিউল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম মরিচ্যা বাজারকেন্দ্রীক বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সাইফুল ইসলাম ২০০৬ সালে মরিচ্যা বাজারে রহমানিয়া বেকারীর সামনে পানের দোকানে চাকরি করত। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ২০১০ সালে চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস্-এ চাকরি শুরু করে। বছর দু-এক পরে গার্মেন্টেস্-এর চাকরি ছেড়ে সাইফুলের পিতার সুপারির ব্যবসা দেখাশোনা করেন।
২০২০ সালে স্থানীয় মেম্বার মনজুর আলম মরিচ্যা বাজার ইজারা নেওয়ার পর সাইফুল সুপারি বাজারের টাকা তুলত। এর কিছুদিন পর সাব-ইজারাদার হিসাবে নিজেই সুপারি বাজারের নিয়ন্ত্রণে নেয়। বাজার ইজারা নেওয়ার পর শুরু হয় তার ইয়াবা পাচার। সুপারির গাড়িতে করে সাইফুল ইয়াবা পাচার করত বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
সাইফুল এখন মরিচ্যা বাজারের ইয়াবা ডনদের একজন। তার সহযোগীরা হলেন খুনিয়া পালং এর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইয়াবা গডফাদার মিজানুর রহমান খোকা, খুনিয়া পালং মৌলভী বাজারের বশির উল্লাহ’র ছেলে ইয়াবা গডফাদার নেওয়াজ শরীফ নেওয়াজ, পাগলির বিলের মোহাম্মদ হোসাইনের দুই ছেলে শাহা আলম ও মো. হাসেম, শাহ আলমের ছেলে ভুলু, পশ্চিম হলদিয়াপালং-এর শাহ আলমের ছেলে মিজান, সম্প্রতি র্যাব-১৫-এর হাতে আটক নাইক্ষ্যছড়ির সোনাইছড়ি বটতলী এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৪৪), রেজু নতুন পাড়ার মীর আহাম্মদের ছেলে ছৈয়দ করিম (৪০), মরিচ্যা বাজারের ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনসহ অনেকেই।
তার অডেল সম্পদের লোভ দেখিয়ে এলাকার বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের সাথর শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তার বিভিন্ন আপত্তিকর বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সাইফুল ইসলাম হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের কাছের লোক হওয়ায় কেউ তার বিপক্ষে কথা বলার সাহস করত না।
সম্প্রতি সে নাইক্ষংছড়ি এলাকার পুলিশের সোর্স ইউছুফের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ সিগারেট বাংলাদেশে নিয়ে এসে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা শুরু করেছে। মরিচ্যা বাজারকেন্দ্রীক কিছু উঠতি বয়সের ছেলেদের সাথে নিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে জানা যায়।
গত ১৪ অক্টোবর চট্রগ্রাম ডিবি পুলিশের হাতে আটক হওয়া মরিচ্যা বাজারের ইয়াবাকারবারী জসিম আহাম্মদ ও রফিক সাইফুলের সহযোগী বলে জানা গেছে।
Discussion about this post