অবলা নারী
সালমা বেগম
দেখিনি কভু দু’চোখ মেলিয়া
জগৎ টাকে ঘুরে,
অবরুদ্ধ রহিয়াছি সারাটি জীবন
পায়ে শিকল পড়ে।
বাহির পানে পাপ, মহাপাপ
স্বর্গ ঘরের কোনে..
মুরুব্বিদের উপদেশ গুলো
মেনেছি সর্বক্ষণে।
স্বল্পতে মন তুষ্ট ছিলো নগন্য
সব চাওয়া,
গুরুজনের আর্শীবাদ কে
ভেবেছি পরম পাওয়া।
মনটা ছিলো চাতক পাখি
চাইতো ভালোবাসা,
ব্যাস্ত সময় কাটতো সদা
মিটতো না সেই আসা।
হৃদয় ছিলো তৃষ্ণায় কাতর
আর্তনাদে ভরা..
যোগায়নি কেউ সাহস শক্তি
শাসন ছিলো কড়া।
ঘুম ছিলো না চোখের পাতায়
রাত জাগা সেই পাখি,
মুয়াজ্জিনের আজান শুনেই
করতো ডাকাডাকি।
ফজর শেষে কাজ শুরু হয়
রাত দুপুরে শেষ,
কর্ম শেষে আত্মতৃপ্তি আছি
আমি বেশ।
বিন্দুমাত্র নেইকো সময়
নিজের জন্য রাখা ,
ঘোরাঘুরি হয়না কভু
স্বজনদের নেই দেখা।
অযত্নে শেষ শরীর খানা
ধস নেমেছে মনে..
বুক ফেটে যায় মুখ ফোটে
না অশ্রু চোখের কোনে।
দুঃসময়ে দুরে সবাই,দেয়না
কেহ সাড়া,
অসুখ বিসুখ শরীর খারাপ
যেনো নিজের গড়া।
বাহির থেকে সবাই দ্যাখে সুখের গড়াগড়ি,
বোবা কান্নায় বুক ফেঁটে যায়
কষ্টে অন্তর ভাড়ি
অন্তর আত্মা ফুপিয়ে কাঁদে,
করে হাহাকার…
অবলা নারীর ভাবনা মনে,
এটাই নিয়তি,এমনই স্বামীর ঘর।
Discussion about this post