শহীদুল ইসলাম, ক্যাম্প থেকে ফিরে:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের কোথাও বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না। দেশের ভু-খন্ডে কেউ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করে রেহাই পাবে না। রোহিঙ্গা মাঝিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেরা আইনশৃঙ্খলা মেনে চলবেন। দলবেঁধে এদেশে রোহিঙ্গাদের পাড়ি জমানোর দৃশ্যটি আমাকে খুব বেশি পীড়া দেয়। ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারকে দুই দফায় তালিকা দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বার বার শর্তের পর শর্ত দিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার।
১৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেল সাড়ে ৪টায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে ভাসানচর হয়ে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবতরণ করেন। এ সময় উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৪-এ রোহিঙ্গা মাঝিদের সাথে ঘন্টাব্যাপী বিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দৈত্য দানবের ন্যায় ভাসানচরের ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। এদিকে ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারাও দলে দলে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক। তবে মিয়ানমারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে এদেশে ইয়াবা ডুকিয়ে দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করার পায়তারা চালাচ্ছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পায়। রোহিঙ্গা নেতারাও স্বেচ্ছায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের যাওয়ার কারণ তুলে ধরেন।
এ সময় সাথে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তফা কামাল উদ্দিন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো: শহিদুজ্জামান, চট্টগ্রামের ডিআইজি মো: আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন মো: মামুনুর রশীদ, রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মন্ত্রীর আগমণকে কেন্দ্র উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যের মোতায়েন ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সড়কপথে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে দুপুর ২টায় নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রায়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে নতুন থানা উদ্বোধন করেন তিনি।
Discussion about this post