আজিজুল হক রানা:
কক্সবাজারের খুরুশস্কুল থেকে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করার দায়ে উখিয়ার এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ ভোরে স্কুল ছাত্রী কনিকা আক্তারকে অপহরণের দায়ে উখিয়া উপজেলা ফলিয়াপাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র ইসহাককে (২৫) রেজু আমতলী বোনের বাড়িতে থেকে আটক করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
এ সময় অপহৃত কনিকা আকতারকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
থানার অভিযোগের সূত্রে জানা যায় খুরুশস্কুল ইসহাকের চাচাত বোনের বিয়ে হওয়ার সুবাদে উখিয়ার ছাত্রলীগ নেতা ইসহাকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
প্রতিমধ্যে দক্ষিণ পেছারঘোনার বাসিন্দা খুরুশস্কুল উচ্চ বিদ্যালের ১০ম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী কনিকা আক্তারের(১৬) উপর লুলুপ দৃষ্টি পড়ে ইসহাকের। কনিকা স্কুল ও প্রাইভেটে যাওয়ার পথে প্রায়শ উত্ত্যক্ত করত ইসহাক।
বিষয়টি কনিকা পরিবারকে জানালে ইসহাকের চাচাত বোন নুর জাহানের মাধ্যমে ইসহাকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়। এতে ইসহাক ক্ষিপ্ত হয়ে ২০ মার্চ ভোরে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ইসহাক সহ তার সহযোগিরা প্রাইভেটে যাওয়ার পথে কনিকাকে সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণ করার সময় পথচারীরা বাঁধা দিতে গেলে ইসহাকের সাঙ্গপাঙ্গরা চুরি মারার ভয় দেখিয়ে মুহুর্তে সড়কে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মারফতে কনিকা অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে অনেক খোঁজা খুঁজি ও মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে মেয়েকে ফিরে পেতে গত ২৮ মার্চ কক্সবাজার সদর থানায় অপহরণের অভিযোগ এনে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ইসহাকে ১ নং আসামী করে ইসহাকের ভগ্নিপতি রাশেদ উল্লাহ ও চাচাত বোন নুর জাহানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন অপহৃত কনিকার বাবা নিয়ামত উল্লাহ।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ ভোরে আমতলী এক আত্বীয়ের বাসা থেকে অপহরণকারী ইসহাককে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশ। এসময় অপহৃত স্কুল ছাত্রী কনিকা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়।
মামলার বাদী কনিকার বাবা নিয়ামত উল্লাহ বলেন আমি পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। ১নং আসামী আটক হলেও বাকী আসামীরা আটক না হওয়ায় এখনো উদ্বেগ,উৎকন্ঠায় আছি।
এ ব্যাপারে উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১নং আসামী ইসহাককে আটক ও অপহৃত কনিকাকে উদ্ধার পূর্বক বাকী আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
Discussion about this post