বিডি দর্পণ ডেস্ক :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম সভাপতি ভলকান বজকির এবং ঢাকাস্থ তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।
বুধবার (২৬ মে) সকালে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌছাবেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির এবং চট্রগ্রাম থেকে সড়ক পথে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌছেবেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। এসময় তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকিরকে অভ্যর্থনা জানাবেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূতসহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও রোহিঙ্গা শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
তবে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারণে শেষ মুহূর্তে সফরসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। করোনা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারনে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ এ পরিদর্শন সংক্ষিপ্ত কেরবে বলে জানা গেছে।
সফর সূচী অনুযায়ী ২৬মে সকালে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছে সকাল ১০টায় সড়ক পথে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে যাবেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও তুরস্কের সাবেক কূটনৈতিক ভলকান বজকির।
সফরে তিনি ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এসময় তাদের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে অবহিত করা হবে এবং পর্যবেক্ষণ করানো হবে। এসময় জাতিসংঘের স্থানীয় প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর শেষে ২৬মে বিকালে কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে বিমান যোগে ভলকান বজকির ঢাকায় রওনা দেবেন। এছাড়া একই দিন সড়ক পথে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরানও কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের তিন বছর আগে আশ্রয় দিয়ে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ৷ আন্তর্জাতিক সমাজের কাছ বাংদেশের এই মানবিকতা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে৷
ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, সেটা বাংলাদেশিদের জন্য, বিশেষ করে কক্সবাজারবাসীদের জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার৷
আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশের এই উদারতার ভূয়সী প্রশংসা হলেও যে দেশের কারণে এই সংকটের সৃষ্টি, সেই মিয়ানমারের উপর গত সাড়ে তিন বছরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তেমন একটা চাপ সৃষ্টি হয়নি৷
Discussion about this post