মহেশখালী প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ির সাইট পাড়ার বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ এলাকায় সারিবদ্ধভাবে দুল খাচ্ছে প্রায় ১০ হেক্টর জুড়ে নতুন সৃজিত ঝাউ বাগান৷
২০২০-২০২১ আর্থিক সনের বন-বিভাগের সুফল প্রকল্পের আওয়াতায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য গোরকঘাটা রেঞ্জের মাতারবাড়ি বিট এলাকার সাইটপাড়ায় ইতিমধ্যে ২৫ হাজার ঝাউগাছের চারা রোপণের কাজ সম্পন্ন করেছে।
সরেজমিনে মাতারবাড়ির সাইটপাড়ায় গেলে দেখা মেলে নতুন সৃজিত ঝাউবাগান। যেখানে রোদের মধ্যেও বাগান পরিচর্যা করছে বনকর্মীরা। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২০- ২০২১ই অর্থ বছরে সাইট পাড়ার বেড়িবাঁধ এলাকায় ১০ হেক্টর জায়গা জুড়ে রোপন করা হয় ২৫ হাজার ঝাউ গাছ।
তারা আরও জানান স্থানীয় কিছু গবাদিপশু চারাগাছ খেয়ে পেলে বাগান নষ্ট করে ফেলে তাই বাগান রক্ষার্থে রাতেও পাহারা দিতে হয়।
মাতারবাড়ি বিট কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, এই ঝাউ বাগান কয়েক মাস আগে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি নিম্নচাপ ও অতিবৃষ্টির কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছিল, পরে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও সহকারী বন সংরক্ষক সাইফুল ইসলাম সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও তার দিক নির্দেশনা মেনে রেঞ্জ কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় বাগানটি আবারও পরিচর্যা করে শতভাগ সফল করার চেষ্টা করতেছি।
অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার শিমুল জানান, ঝাউ বাগান রোপন করা হয়েছে। এটির সঠিক পরিচর্যার দরকার৷ যদি বাগন হয়ে গেলে বেড়িবাঁধ এলাকা টেকসই হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে পাশাপাশি পর্যটক ও বাড়বে৷
মহেশখালী উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুল রহমান জানান, আমরা সুফল প্রকল্পের আওয়াতায় মাতারবাড়ির সাইট পাড়ার বেড়িবাঁধ এলাকায় ১০ হেক্টর ঝাউ বাগান শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি পাশাপাশি বাগান রক্ষার্থে বন বিভাগের পাশা পাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের সহযোগিতা কাম্য বলে জানান।
Discussion about this post