নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে উখিয়ায় পৃথক পৃথক ঘটনায় একদিনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তৎমধ্যে কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গা, রাজাপালং হরিণমারা এলাকায় একজন ও পালংখালী নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে থাইংখালীর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরে লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হয় বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার এমদাদুল হক জানিয়েছেন, কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। এতে ৫ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দোকানে কর্মরত বালুখালী ১০ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফয়েজুল ইসলাম, আনসার উল্লাহ ও আয়াজ উল্লাহর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
অন্যদিকে, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা আমিন পাড়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে হোসেন আহমদ (প্রকাশ লম্বা হোসন) এর বড় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকর খুন করেছে তার সৎ পুত্র আলমগীর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে দুই স্ত্রী সন্তানদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লম্বা হোসেনের বড় স্ত্রীর সন্তান আলমগীর তার সৎ মা আনোয়ারা বেগম (৪৫) কে মাথায় ধারালো দায়ের কোপ দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে উপজেলার পালংখালী সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার হওয় মিজানুর রহমান (২৫) নামে এক যুবকের। সে পেশায় একজন টমটম চালক। সে পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রহমতের বিল এলাকার মফিদুল আলমের ছেলে বলে জানা গেছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহামদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হরিণমারা এলাকায় ছেলের হাতে সৎ মা নিহতের ঘটনায় ৩ জনের নামে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Discussion about this post