অনলাইন ডেস্ক:
জনসম্মুখে মানুষ পেটানোর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দিতেন তিনি। মানুষের বাসায় ঢুকে বা বিনোদনকেন্দ্রে প্রকাশ্যে মানুষকে পেটানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কাজ তিনি একা করেন না। রয়েছে দলও। এমন নানা অভিযোগে ছয় মাসের ব্যবধানে দুই মামলার আসামি হয়ে পুনরায় কারাগারে গেলেন তিনি লেডি গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত তাহমিনা সিমরান সিমি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিমি নগরের ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং বড়বাড়ি এলাকার কামাল হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে পালক বাবার কাছে বড় হচ্ছেন তিনি। নগরীর একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। সিমির গ্যাংয়ের সাত সদস্য হলো- শাকিল, মাহি, আরবিন, ওয়াহিদ, রাইসা, রায়হান ও রুবেল। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
সম্প্রতি এক কিশোরীকে মারধরের মামলায় লেডি গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত তাহমিনাকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। বুধবার (১৭ মার্চ) তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলায় বলা হয়, গত ৪ মার্চ পতেঙ্গা নেভাল এলাকায় সিমি ও তার বন্ধু মেহেরুল হাসান মারধর করেন অর্নাকে। পরে মারধরের ভিডিও ১২ মার্চ সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর পতেঙ্গা থানার এসআই মহিউদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, টিকটক তারকা হিসেবে দ্রুত ফেমাস হতেই মানুষ পেটানো নেশায় পরিণত হয়েছে সিমির। শুধু তিনি একা নন, ছয়-সাতজনের একটি গ্যাংও তৈরি করেছেন।
এর আগেও ২০২০ সালের আগস্টে এক তরুণীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ছিল সিমির বিরুদ্ধে। আক্রান্ত তরুণীর মামলায় ২৭ আগস্ট দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন সিমি।
Discussion about this post