বিডি দর্পণ ডেস্ক:
করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে গণপরিবহণ বন্ধ করা হঠকারী সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এর ফলে যে সংক্রমণ বাড়বে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। এরচেয়ে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়ানো উচিৎ ছিল বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে গণপরিবহণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২২ দিন পর সিটি কর্পোরেশন ও জেলার মধ্যে গণপরিবহণ চালু করা হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার বাস এবং ট্রেন ও লঞ্চ। তবে, সাধারণ মানুষ যে সরকারের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি তার প্রমাণ ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল। কোনরকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে যে কোনো উপায় ঘরে ফিরছেন তারা।
ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে মানুষের ঘরে ফেরা ঠেকাতে কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করা হলেও তা তেমন কোনও কাজে আসছে না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গেল ঈদের অভিজ্ঞতা থাকার পরও গণপরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। আবার দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখে জেলার ভেতর বাস চালানোর সিদ্ধান্তও বুমেরাং হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম টেলিফোনে ডিবিসি নিউজকে জানান, মানুষ গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছে এতে ঝুঁকি আরও বাড়ছে। এক্ষেত্রে সংক্রমণ বৃদ্ধির দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ভুল আখ্যায়িত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোজাহেরুল হক বলেন, ‘আপনি আমার চলাচল বাধাগ্রস্ত করতে পারেন না। মানুষের প্রয়োজন থাকলে মানুষ যাবে। তবে, যেটা করণীয় ছিলো তা হলো-স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা।’
সংক্রমণ আবারো বাড়লে তার দায় দায়িত্ব কি জনগণের? এমন প্রশ্নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোজাহেরুল হক বলেন, ‘সংক্রমণ রোধে সরকার চেষ্টা করছে না এমনটা নয়। মহামারি ও সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যথেষ্ট আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কিন্তু, তারা সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।’ জনগণকে সম্পৃক্ত করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা উচিত ছিলো বলেও মনে করেন এ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
গেল কয়েকদিন করোনা শনাক্ত এবং মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও, সপ্তাহখানেক পর থেকে আবারো তা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
Discussion about this post