উখিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়ায় আইন শৃংখলার পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। যার ফলে একদিনের ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় মা ও সৎ বাবার হাতে দুই শিশু খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিবাগত রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পৃথক ২ শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে, উখিয়ায় মা ও সৎ পিতার হাতে সুমা আক্তার (৪) নামে এক শিশু খুন হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সৎ পিতা ও মা পলাতক রয়েছে।
নিহত সুমা আক্তার সাতকানিয়ার আলী আকবর ও বুলবুল আক্তারের শিশু কন্যা বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা। আলী আকবর নিহত সুমা আক্তারের সৎপিতা।
হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার দিকে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার মেহের আলীর দোচালা টিনের কলোনীর ২ নং রুমের ভিতরে একটি শিশুর মৃতদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে উখিয়া থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, আলী আকবর ও বুলবুল আক্তার কলোনীতে এসেছে মাত্র ১২ দিন মত হচ্ছে। তাদের নাম ছাড়া আর কোন পরিচয় জানা নেই। শিশুটি বৃহস্পতিবার রাতে যেকোন সময়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ভোর বেলায় মা বাবা দুজনেই পালিয়ে গেছে বলে ধারনা করছেনা তারা।
অন্যদিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফারিরবিল এলাকায় একই ভাবে জান্নাতুল নাঈমা (৩) নামে এক শিশু খুনের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে আড়াইটার দিকে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার এক পর্যায়ে সৎপিতা ওমর ফারুক শিশু কন্যাকে হত্যা করে। নিহত শিশুর মা ঘাতক ফারুকে স্ত্রীর আগের স্বামীর মেয়ে।
স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু জান্নাতকে উদ্ধার করে একটি এনজিও হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারেরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয় লোকজন ঘাতক ওমর ফারুককে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা গ্রামে স্বামীর হাতে স্ত্রী ও সৎ ছেলের হাতে মা খুনের ঘটনা ঘটেছে।
মৃতদেহ ২টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শিশু হত্যার ঘটনায় ওমর ফারুক (৩৫) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ সনজুর মোরশেদ।
Discussion about this post