কক্সবাজার শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে সৈকত বহুমুখী সমবায় সমিতির কটেজ জোনে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত টানা অভিযান চালানো হয়। এতে ৬ টি অবৈধ নির্মাণাধীন ভবনের আংশিক ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ভেঙ্গে দেওয়া ভবনগুলো হলো, পুরাতন ঢাকার বাড়ী রেস্তোরাঁ লোহাগড়ার আব্দুল হক এর মালিকানাধীন ভবন, পিএমখালীর মনিরের মালিকানাধীন ভবন, পুরাতন জিএম গেস্ট হাউস, রমজান কটেজ, আলোচিত কক্স ওশানীয়া ও পিএমখালীর ফিরোজের মালিকানাধীন ভবন। এসময় কউক’র ভারী স্কেভেটর টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সম্প্রতি ওই কটেজ জোনের প্রবাসী আশরাফের মালীকানাধীন ভবনের সেফটি ট্যাংকের বিতরে বিষক্রিয়ায় ৩ শ্রমিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জেলা তথা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দেয়। এতে করে প্রশাসনের টনকনড়ে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কউক’র সচিব (উপসচিব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ এর নেতৃত্বে চলা অভিযানে সাথে ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তর কক্সবাজার এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমান, কউক’র অথরাইজড অফিসার রিশাদ উন নবী,বিদ্যুৎ বিভাগ, আনসার ব্যাটালিয়ান সদস্যরা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কউক (সচিব) আবু জাফর রাশেদ বলেন, গণপূর্তের জায়গা অবৈধ দখল করে অননুমোদিত বহুতল ভবনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান। সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে পর্যায়ক্রমে। বিশ্বের দীর্ঘতম পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে দেবেন না কউক। দিনে উচ্ছেদ রাতে নির্মাণ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতে নির্মাণ হওয়া অবৈধ ভবন আমরা দিনে ভেঙ্গে দেব সকল অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
Discussion about this post