অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই:
কাপ্তাইয়ের শীলছড়ির সীতারঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তন্ময় দাশের (১৯) মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তন্ময় দাশ (১৯) চট্টগ্রাম মহানগরের টাইগারপাস এলার বাসিন্দা সুবল দাশের পুত্র। সে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র বলে জানান তাঁর সাথে আগত বন্ধুরা।
নিখোঁজের মাসিতো ভাই কৃষ্ণ নাথ জানান, চট্টগ্রাম থেকে তন্ময়সহ মোট ৯ জন বন্ধু কেপিএম তাদের বাড়ীতে বেড়াতে এসে পরে কর্ণফুলী নদীর ধারে অবস্থিত সীতার ঘাট মন্দিরে ঘুরতে যান। তারা মন্দির দর্শনের পর বিকাল সাড়ের ৪ টার দিকে পাশ্ববর্তী ঘাটে কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামে।
এক পর্যায়ে চোখের পলকে হঠাৎ কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজ হয়ে যায় তন্ময়। পরে তার বন্ধুরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে সরকারের জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দেয়। পরে বিষয়টি কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করলে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের লিডার ধীমান বড়ুয়া নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
তারা এসে নিখোঁজ হওয়া তন্ময়কে খোঁজাখুজি শুরু করে এবং রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলকে খবর দেন।
সন্ধ্যা ৭ টার কিছুটা পর প্রথমে কাপ্তাই নৌ ঘাঁটি শহীদ মোয়াজ্জেম এর নৌ ডুবুরি দল এবং রাঙ্গামাটি জেলা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল যৌথভাবে নিখোঁজ তন্ময়ের উদ্ধারে কর্নফুলি নদীতে নেমে পড়েন।
রাত ৮ টায় একই জায়গা হতে নিখোঁজ তন্ময় এর মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। উদ্ধারের পর তাকে উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রাত ৮ টায় ফায়ার সার্ভিস এবং নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃত্যুবরনকারী তন্ময়ের লাশ মানবিক কারনে ময়নাতদন্ত ছাড়া তাঁর মা বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ওসি মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান।
এর আগে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান, কাপ্তাই থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন, ওসি (তদন্ত) আকতার হোসেনসহ চন্দ্রঘোনা ও কাপ্তাই থানার থানার পুলিশ সদস্যরা।
তাঁরা এসে উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করেন। এইসময় কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, সাতার জানা না থাকলে কেউ যেন নদীতে গোসল করতে না নামে সেই বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ হতে বারবার সর্তক করা হয়েছে।
Discussion about this post