ডেস্ক রিপোর্ট :
বসুরহাটে মঙ্গলবার (৯মার্চ) গুলিতে নিহত যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন হত্যা মামলার ঘটনায় আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় কোনো হত্যা মামলা হয়েছে কী না তা জানাতে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪নং আমলি আদালতের বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালত এ নির্দেশ দেন।
এর আগে নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু রোববার দুপুরে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নং আমলি আদালতের বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে এ মামলা দাখিল করেন। আদালত রোববার বিকেল ৩টায় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন। পরে বিকেলে শুনানি শেষে আদালত মামলা গ্রহণপূর্বক উল্লেখিত আদেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, আদালত পিটিশন মামলা (নং ১৬৮/২০২১) গ্রহণপূর্বক একই বিষয়ে কোনো হত্যা মামলা থানায় হয়েছে কী না সেটা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মাশরুর কাদের তাসিক মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০জনকে আসামি করা হয়েছে। বিকেলে শুনানির সময় নির্ধারণ করেন আদালত।
গত মঙ্গলবার (৯মার্চ) গুলিতে নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় নিয়ে যান। এজাহারে ত্রুটি থাকার অযুহাতে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে জানান এমদাদ। পরে শুক্রবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় রোববার আদালতে মামলা করা হয়।
এদিকে মামলার বাদী এমদাদ হোসেন বলেন, “আদালতে আসতে আমাকে পাহারা দেওয়া হয়েছে। অনেক কৌশল করে আসতে হয়েছে। এখন আমি কেন ভাই হত্যার বিচারের দাবি করছি তাই তাদের টার্গেট আমি। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।”
পুলিশ মামলা না নেওয়ায় নিহত আলাউদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের চর ফকিরা ইউনিয়নের চর কালি গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় তারা অভিযোগ করেন মামলার প্রধান আসামি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ দেওয়া হলে মামলা নেওয়া হবে। ওই নাম বাদ না দেওয়ায় মামলা নেয়নি পুলিশ।
Discussion about this post