তারেক আল মুনতাছির (নিখোঁজের বন্ধু) •
বন্ধুর নিখোঁজের সন্ধান চাই
একজন iiucan 30th batch law dept
Chittagong College 15batch,
Muslim high school 13 batch
আমি তাকে যতটুকুন চিনেছি, খুবই ভালো মিশুক একটা ছেলে রিদওয়ান। ব্যবসা আর ঘুরাঘুরির প্রতি দারুণ ঝোঁক, প্রায়ই সে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায়, সমবয়সী বন্ধু সাহসী উদ্যোমী, অসাধারণ একজন তরুণ উদ্যোক্তা।
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (IIUC)’র Law Department ৩০তম ব্যাচের ছাত্র রিদওয়ান রামু ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ব্যবসায়িক কাজে এবং খামারের জন্য জমি দেখতে গিয়ে ১মাস ধরে নিখোঁজ, সাথে তার দুই বন্ধুও ছিলো।
স্থানীয় লোক দ্বারা তার পরিবার বারবার প্রতারিত হচ্ছে, কেউ বলছে ও এখানে টাকা দেন,কিন্তু কেউই সঠিক তথ্য দেয়নি। রিদওয়ান এর বাবাও দেশের বাইরে থাকে, এদিকে আন্টি একা তাই এতদিনেও উনি তেমন কিছুই করতে পারেননি। আর কি কোনোদিন ওর কোনো খবর পাবো?ও কি বেঁচে আছে? খারাপটা লাগে এই ভেবে ওর জায়গায় আমি হলে? কেউ কি খবর নিতো?
কোনদিন এমন একটি খবর নিয়ে আমাকে পোষ্ট করতে হবে কখনো ভাবিনি। আমি আজ খুবই ব্যতীত এবং মর্মাহত আমার বন্ধুর জন্য।
আমার বন্ধু আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (IIUC)’র Law Department ৩০তম ব্যাচের ছাত্র ছিল। তার নাম রিদওয়ানুল হক। তার বাড়ী চট্টগ্রামের আনোয়ারা। তার খুব আগ্রহ ছিল ব্যবসা এবং খামার করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। সেই উদ্দেশ্য রামু ও নাইক্ষ্যংছড়িতে জমি দেখতে গিয়ে ২৩দিন ধরে নিখোঁজ, সাথে তার দুই বন্ধুও ছিলো। তারাও নিখোঁজ।
প্রিয় DSC এবং এর সকল সদস্য কে অনুরোধ করছি, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিয়ে আমার বন্ধুসহ ৩ জনকে খুঁজে বের করে তাদের অসহায় মায়ের বুকে ফিরিয়ে দিন।
যোগাযোগ :- ০১৮৬৬৪৪১৫২৫
ডিজি বিষয়ে যা যা…….
কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ছাগলের খামারের জমি দেখতে এসে চট্টগ্রাম ও ঢাকার তিন যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। গত ২৪ আগস্ট গর্জনিয়ার ছাগলখাইয়া এলাকা থেকে জমি দেখে ফেরার পথে তারা নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ কলেজছাত্র রিদুয়ানের মামা ইউনূছ।
এ ঘটনায় রামু থানায় ২৯ আগস্ট জিডি (নং-১২২০/২০২১) করা হয়। তবে ২০ দিনেও তাদের কোনো হদিস মেলেনি।
নিখোঁজরা হলেন- চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের হাফেজ মুহাম্মদ মুছার ছেলে মুহাম্মদ রিদুয়ানুল হক (২৩), ঢাকা লালবাগের ৩২/২ হরনাথ ঘোষ রোড়ের মৃত আবদুছ ছমদের ছেলে মৌলানা রফিকুল ইসলাম খালেদ (৩৩) ও ঢাকার কেরানিগঞ্জের পূর্ব সরাইল এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু বক্কর তাকি (৩২)।
তাদের মধ্যে রিদুয়ানুল হক চট্টগ্রাম (IIUC)’র Law Department ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিখোঁজ রিদুয়ানের মামা ইউনুছ তার জিডিতে উল্লেখ করেন, নাক্ষ্যংছড়ির কম্বোনিয়া এলাকায় মৌলানা রফিকুল ইসলামের মৎস্য খামার, কলা ও পেঁপে বাগান রয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রিদুয়ান, রফিক ও আবু বক্কর একসঙ্গে ছাগলের খামার করার উদ্যোগ নেয়। খামার করতে রফিক গর্জনিয়া এলাকার মফিজ কোম্পানির মালিকানাধীন ছাগলখাইয়া নামক স্থানে প্রায় ১০ একর জমি পছন্দ করেন। গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির ওই এলাকা পাহাড়বেষ্টিত। গত ২৪ আগস্ট সকালে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে জায়গাটা দেখতে যান। সেখান থেকে বিকেল ৫টার দিকে ফিরে আসার পথে মাঝিরকাটা এলাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত তাদের মুঠোফোনে সংযোগ পেলেও পরবর্তীতে তিনজনের মুঠোফোনই বন্ধ পাওয়া যায়। মাঝিরকাটা এলাকাটি রামু থানার অধীন আর কম্বোনিয়া এলাকাটি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অধীনে।
তিনি আরও লেখেন, তারা নাইক্ষ্যংছড়ির কলা ও পেঁপে বাগানে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায় রফিকের বাগানের পাহারাদার আবদুল আওয়াল (২২) তিনজনের মুঠোফোনেই অনবরত কল দেন। কিন্তু মোবাইল সংযোগ ও তাদের খোঁজ না পেয়ে পাহারাদার আওয়াল বিষয়টি রিদুয়ানের মাকে অবহিত করেন। আমি বিষয়টি আমার বোন থেকে জেনে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু থানা এলাকার উল্লেখিত জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি।
অভিযোগকারী ইউনুছ বলেন, জমির মালিক গর্জনিয়া মাঝিরকাটার মুফিজুর রহমান কোম্পানির সঙ্গেও দেখা করেছি। তিনি বলেছেন, তারা জমিটি পছন্দ করে সেখানকার ক্ষেত থেকে নানান সবজিও নিয়ে এসেছে। কোনো থানাই বিষয়টি লিপিবদ্ধ করতে না চাওয়ায় নিখোঁজের চারদিনেও সাধারণ ডায়েরি করতে পারিনি। পরে মাঝিরকাটা জায়গাটি রামু থানার মধ্যে পড়ায় অনেক তদবিরে ২৯ আগস্ট জিডি করা গেলেও তাদের কোনো হদিস পায়নি। পরিবারের ছেলেটি নিখোঁজ থাকায় সবার মাঝে উদ্বেগ কাজ করছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি-তদন্ত) অরূপ চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল দুর্গম পাহাড়বেষ্টিত। এরপরও জিডি নেওয়ার পর গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে দিয়ে সব জায়গায় খোঁজা হয়েছে, কোথাও তাদের পাওয়া যায়নি। রফিকের বাগানটি নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় হলেও তারা জিডিটি এড়িয়ে গেছে।
Discussion about this post