নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইফতারের জন্য সময় বরাদ্দসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এতে ১৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আরও ৫০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) পৌনে ১২ টার দিকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিক্ষোভ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গণ্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনায় ‘১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র’ যৌথভাবে নির্মাণ করছে এস আলম গ্রুপ ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে এস আলম গ্রুপের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৬ থেকে ২০২১— গ্রামবাসীর পর এবার ঝরলো শ্রমিকের রক্ত নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আহমদ রেজা (১৮), রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২৪)। চমেক হাসপাতালে মৃত একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ সময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়।’
এদিকে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ ৭ শ্রমিককে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
জানা যায়, সোমবার সকালে শ্রমিকরা দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বাধে। এতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়।
গুলিবিদ্ধ হয় আরও ১৭ জন। বকেয়া বেতন পরিশোধ, বেতন বৃদ্ধির দাবি, শুক্রবার এক বেলা কাজ করা ও ইফতারের জন্য সময় বরাদ্দসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। শ্রমিক নিহতের খবরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেয়।
Discussion about this post