সংবাদদাতা •
নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে উখিয়ার কুতুপালং মধুছড়া ক্যাম্পে পালিয়ে আসা দুই পরিবারের সাত রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
আটকৃতরা হলেন, ভাসানচরের ক্লাষ্টার নং-৫৫, ঘর নং-সি/২ এর বাসিন্দা আবুল বশর, তার স্ত্রী হুমায়রা বেগম (২৯), ছেলে মিজবাহর রহমান এবং ভাসানচরের ঠিকানা-ক্লাষ্টার নং-০৭, ঘর নং-কে/৪ এর বাসিন্দা মোঃ হারুন (২৫), তার স্ত্রী শুকতারা (২০), ছেলে হাফিজুল্লাহ এবং আরাফাত।
শনিবার (১৭ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।
এসপি নাঈমুল হক জানান, শনিবার সন্ধ্যার সময় ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসে মধুরছড়া ক্যাম্প-০৩ এর ব্লক-ডি/২ এ বসবাসকারী রোহিঙ্গা আবুল মাছনের শেডে অবস্থানের সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গত ৩০ এপ্রিল তারা স্বেচ্ছায় উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে ভাসানচর যায়। সেখানে কিছু দিন থাকার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক রোহিঙ্গা সেখানে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করে। ভাসানচরে কাজ কর্মের কোন সুযোগ সুবিধা নেই। সেখানে শুধু জন প্রতি ১৩ কেজি চাউল, আলু, তৈল, হলুদ ও মরিচ দেয়া হয়। এর বাহিরে আর কিছু দেয়া হয় না। ভাসানচর থাকাকালে রোহিঙ্গা হারুন ও আবুল বশর মাছ ধরার জন্য পাশের জলধারে গেলে সেখানে নোয়খালী জেলার নৌকার মাঝিদের সাথে পরিচয় হয়। মাঝিদের সঙ্গে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ভাসানচর হতে নোয়াখালী উপকূলে পৌঁছে দেয়ার চুক্তি হয়। তারা মাঝিদের নাম ঠিকানা জানে না। চুক্তি অনুযায়ী ১৩ জুলাই সন্ধ্যার পর তারা দুই পরিবারের সাত জন ভাসানচর হতে পালিয়ে কক্সবাজার আসার চেষ্টা করে।
পরে ১৬ জুলাই সকালে কুতুপালং বাজারে এসে পৌঁছায়। কুতুপালং বাজার থেকে সিএনজি যোগে আটককৃত আবুল বশরের পিতা-আবুল মাছন শেডে এসে আশ্রয় নেয়।
এসপি জানান, তাদের আটকের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) কে অবহিত করাসহ আটককৃতদের সিআইসি অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। সিআইসি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Discussion about this post