শাহীন মাহমুদ রাসেল :
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করার খবরে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় গভীর রাতে আওয়ামী লীগের অফিসে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে।
এসব ঘটনায় শনিবার রাতে মহেশখালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারেক রহমান জুয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলায় হেফাজতের ব্যানারে হঠাৎ দফায় দফায় লাঠি মিছিল করা হয়। বড় মহেশখালীতে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হেফাজতের ব্যানারে মূলত জামায়াত-বিএনপির লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১২টার দিকে একটি বিশাল লাঠি মিছিল বড় মহেশখালী থেকে উপজেলা সদরে আসে, মিছিলটি পৌর শহরের গোরকঘাটা বাজার থেকে সড়কের দুপাশে ভাঙচুর চালিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় যায়। এ সময় মূলফটক বন্ধ পেয়ে সরকারি কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই ঘটনার বলেন, এসব ঘটনায় রাতেই মহেশখালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারেক রহমান জুয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, যে কোনো উপায়েই এমন জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করবে। এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মহেশখালী-কুতুবদিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে মহেশখালীতে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে। সমগ্র বিষয়টিকে কঠোরভাবে দেখছে পুলিশ।
মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা খুবই দুঃখজনক, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে দেখছেন। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
Discussion about this post