ক্রীড়া ডেস্ক :
গোল মিস ও ফাউলের মহোৎসবের এক প্রদর্শনী হতে চলেছিল কোপা আমেরিকার শেষ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। ছয় হলুদ কার্ড ও এক লাল কার্ডের পরিসংখ্যান বোঝাতে সক্ষম নয়; ফাউলের পরিমাণ কতটা বেশি ছিল। আর গোলের সুযোগ হাতছাড়া করায় ইকুয়েডরের চেয়ে আর্জেন্টিনা ঢের এগিয়ে ছিল। মূলত দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে লিওনেল মেসির আরেকটি ঝকমকে পারফরম্যান্স। তার করা এক গোল ও দুই অ্যাসিস্টে ভর করে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে আসরের সেমিফাইনালে উঠেছে আলবিসেলেস্তেরা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির গোল সংখ্যা এখন ৭৬টি; আরেকটি গোল পেলেই তিনি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের করা ৭৭ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করবেন। কোপা আমেরিকায় এখন পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে ১০ ম্যাচ খেলা এলএম টেন ৫ গোলের করার পাশাপাশি ১০ অ্যাসিস্ট করেছেন।
রোববার (৪ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আর্জেন্টিনার শুরুর একাদশে ছিলেন না অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও সার্জিও অ্যাগুয়েরো। প্রথম দিকে তারা প্রতিপক্ষের শিবিরে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে। তৃতীয় মিনিটে লেনান্দ্র পেরেদেসের অ্যাসিস্টে বল পাওয়া লাউতারো মার্তিনেজের নেয়া শট প্রতিহত করেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক গালিন্দেজ। দুই মিনিট পর ইকুয়েডরের পোস্ট লক্ষ্য করে ডি’পলের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
১৪ মিনিটে ইকুয়েডরকে নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে বাঁচান আরবোলেতা। গোলরক্ষক পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসার পর মার্তিনেজের নেয়া শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন তিনি। দুই মিনিট বাদে মেসির কর্ণার কিক থেকে বল ধরেন পেজেল্লা। বুক থেকে বল নামিয়ে ইকুয়েডরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিলেও তা টার্গেটে ছিল না।
ম্যাচের ২২ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন মেসি। ইকুয়েডরের গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারলেন না মেসি। তাঁর শট পোস্টে প্রতিহত হয়।
৩৮ মিনিটে ইকুয়েডর এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। দিয়েগো পালাসিওসের ক্রস হেড করলেই বল জালে পাঠাতে পারতেন ইনের ভ্যালেন্সিয়া। পরের মিনিটে মার্কোস অ্যাকুয়ার শট অল্পের জন্য বেরিরে যাওয়ায় আলবিসেলেস্তেরা লিড পায়নি।
বারবার গোল মিসের ধারাবাহিকতার মাঝে ৪০ মিনিটে নিকোলাস গঞ্জালেস ডি বক্সে বিপদজনক হয়ে উঠলে সামনে এগিয়ে এসে বল ফিরিয়ে দলকে বিপদ্মুক্ত করেছিলেন ইকুয়েডর গোলরক্ষক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ফিরতি বলে মেসির পাসে বল নিয়ে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করে আর্জেন্টাইন শিবিরে স্বস্তি আনেন রদ্রিগো ডি পল।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে মেসির ক্রস থেকে নিকোলাস গঞ্জালেসের হেড গালিন্দেজ সেভ করেন। ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে অ্যাঞ্জেল মেনার ক্রসে একইভাবে ভ্যালেন্সিয়া অল্পের জন্য মাথা লাগাতে না পারায় বিরতির আগে ইকুয়েডর সমতায় ফেরেনি।
৫৮ মিনিটে এসতাপিনানের বাঁ পায়ের দুরহ কোণ থেকে নেয়া কিক প্রতিহত করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। সাত মিনিট পর মার্কোস অ্যাকুয়ার শট সেভ করেন গালিন্দেজ।
Discussion about this post