শহিদুল ইসলাম হৃদয়, রাঙামাটি:
পার্বত্য অঞ্চলের চাষিরা বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি ফলের চাষ করে ইতিমধ্যেই তকমা লাগিয়েছে সারা দেশে। এই অঞ্চলের উর্বর মাটি চাষের উপযোগী হওয়ায় বিদেশে উৎপাদিত ফল দেশের মাটিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে পাহাড়ের প্রান্তিক চাষিরা।
বাহিরের দেশে উৎপাদিত ড্রাগন ফল এখন চাষ হচ্ছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বেশ কয়েকটি জায়গায়। এই ফলের চাহিদাপূরনে চাষিরা বাগান থেকে ড্রাগন ফল সংগ্রহ করে জেলার বাজার গুলোতে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসতে দেখা গেছে।
শহরের বনরুপা বাজারের ড্রাগন ফল বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, রাঙামাটির ঘিলাছড়ি থেকে এই ফল গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
তারা বলেন, এখানকার মানুষের কাছে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, ক্রেতাদের চাহিদাপূরণের জন্য এই ফল আমরা বাজারে আনছি। ড্রাগন ফল বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে যেমন সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজারে ড্রাগন ফল কিনতে আসা কয়েক জন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন, ড্রাগন ফলে ঔষধি গুণ রয়েছে এটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং খুবই সুস্বাধু একটি ফল। আমরা এই ফল আমাদের পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানোর কারণ হলো? ড্রাগন ফল ক্যেন্সার, ডায়বেটিক, কিডনি, হার্ট সহ মানবদেহের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
এখনো পর্যন্ত চাষাবাদের আওতায় না আসা পার্বত্য এলাকায় হাজারো একর জমি পতিত অবস্থায় পরে আছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্প্রীক্ত করে সরকারের কৃষি বিভাগ এই জমি গুলোতে ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে তুলতে পারলে, পাহাড়ের কৃষিজ অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আনতে পারবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
Discussion about this post