নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তদের হাতে ছয়জন খুনের ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উখিয়া থানায় মামলাটি রুজু করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্র আজিজুল হক (২২) এর পিতা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাত তিনটার দিকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে হঠাৎ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর সঙ্গে দাঁড়াল অস্ত্র দিয়ে মাদ্রাসায় অবস্থানকারীদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় মামলার বাদী নুরুল ইসলামের পুত্র আজিজুল হক। হামলায় আজিজসহ ওই মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও চার শিক্ষকের মৃত্যু হয়।
সূত্র জানিয়েছে, মামলার এজাহারে হামলার ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়া কথিত রোহিঙ্গা গ্রুপ আরসার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প জিম্মাদার (কমান্ডার) কে/১৪ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ বাসেরের ছেলে মৌলভি আকিজ ওরফে মৌলভি অলি (৪০) কে প্রধান আসামি করে আরও ২৪ জন আরসার সঙ্গে যুক্ত রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার দিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মামলার প্রধান আসামি মৌলভি অলির নেতৃত্বে ২০ থেকে ২১ জনের সন্ত্রাসীদের একটি দল প্রথমে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। পরে ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/৬ ব্লকের আব্দুল্লাহের ছেলে ডা. নুর কলিম ওরফে ওয়াক্কাস (৪০) ও ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (ইস্ট) বি/৪৪ ব্লকের মৌলভি জমির হোসেন ওরফে মৌলভি দিলদার হোসেন ওরফে মৌলভি আবু বক্কর (৪৫) এর নেতৃত্বে আরও দুটি গ্রুপ তাদের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয়।
ঘণ্টাব্যাপী মাদ্রাসাটিতে তাণ্ডব চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দেশীয় ভারী অস্ত্রে সজ্জিত দুর্বৃত্তের সংঘবদ্ধ দলটি। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ, হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও ২ জনের।
ওই দিন সকালেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ মুজিবুর রহমান নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করে এপিবিএন-৮। এরপর একই দিন রাতে সন্দেহভাজন আরও ৮ জনকে আটক করা হয়। তবে এখনো তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
Discussion about this post