নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়া ১৬ নং শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রসী ইমরান (প্রকাশ ইরাইন্যা) গ্রুপের ১১ সদস্যকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা।
আটক সন্ত্রাসীদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ সাবেক নেতা জোর তদবির চালাচ্ছে।
রবিবার (২৮মার্চ) দুপর ১ টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ১৬ নং শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে লোটপাটের সময় অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো উখিয়ার পালংখালী নলবনিয়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে ওবায়ুর (৩০), পালংখালী এলাকার মো. হোসেনের ছেলে আব্দুল হামিদ (২৮), শফিউল্লাহ কাটা এলাকার আব্দুল হকের ছেলের রিপন (২৪), একই এলাকার মো. ফকিরের ছেলে মিজান (২২), নলবনিয়া এলাকার হোসেন আহমেদর ছেলে আব্দুল রশিদ (৩০), পালংখালী এলাকার জাহিদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হক (২০), নলবনিয়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন (প্রকাশ ইরাইন্যা) ডাকাত (২৮), মোছার খোলা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলের নূর মোহাম্মদ (২১), নলবনিয়া এলাকার আব্দুল মোনাফের ছেলে আরিফ (২৯), পালংখালী ভাদীতলা এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২২), কক্সবাজার পেকুয়া এলাকার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সালামত উল্লাহর ছেলে মো. হেলাল।
১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এপিবিএন পুলিশের (ওসি) আমিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদ উল্লাহর ছেলে এয়াকুবের চায়ের দোকান থেকে ১১ জন স্থানীয় সন্ত্রাসীদের আটক করা হয়। ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক ইমরান (প্রকাশ ইরাইন্যা) গ্রুপের সন্ত্রাসীরা স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে রাতের আধারে ক্যাম্পে ভিতরে ডুকের মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তারা।
তাছাড়াও রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দেরকে অপহরণ করে মেটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ইরামান (প্রকাশ ইরাইন্যা) গ্রুপের সন্ত্রাসীদের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ করারও অভিযোগ রয়েছে।
উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহমদ সনজুর মোরশেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক সন্ত্রাসীরা অপহরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও মাদকের কয়েকডজন মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
Discussion about this post