সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা’র ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বিনোদন সেবা দিতে আনা হয়েছিল ৯০টির বেশি ঘোড়া।
ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌঁড়ঝাপ দিতে কতই না আনন্দ। ঘোড়ার পিঠে উঠে তোলা ছবি, কিংবা সেলফি অনেকের কাছে সারাজীবনের স্মৃতি।
ঘোড়ায় পিঠে চড়ে যুদ্ধ হয়েছে দেশে-দেশে। চাকরির আগে নিতে হয় ঘোড়া চালানোর প্রশিক্ষণ।
নাটক-সিনেমার স্যুটিং, বিয়ে-শাদী, অনুষ্টান শোভাযাত্রায় বর্ণিল আমেজ এনে দেয় মানবপ্রেমি এই ঘোড়া। ঘোড়ার দৌঁড়- প্রতিযোগিতা আমাদের লোকসংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ঘোড়াগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা কত আয়-রোজগার করি।
এখন করোনাকাল, চলছে লকডাউন, সমুদ্র সৈকত পযটকশূন্য। ঘোড়াগুলোরও আয়-রোজগার বন্ধ। তাই বলে ঘোড়াগুলো না খেয়ে মরবে? এই আমাদের কেমন মানবিকতা?
আমরা দেখেছি, ঘোড়াগুলোর খাবার জুটছে না। ইতিমধ্যে মারা গেছে ২১টি ঘোড়া। আরও কিছু ঘোড়া অপুষ্টির শিকার, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরের অলিগলি, পথঘাটে।
আয় যখন ছিল, তখন ঘোড়াগুলোর কদর ছিল, আয় নেই কদরও নেই।
কক্সবাজারে কত শত এনজিও, সংগঠন। সবাই ব্যস্ত রোহিঙ্গা আর ঋণ নিয়ে। ঘোড়ার পাশে কেউ নেই। হায়রে ঘোড়া….! স্বার্থ যতক্ষণ, প্রেম-ভালোবাসাও ততক্ষণ!
Discussion about this post