নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়াপালংয়ের অবস্থিত নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিলটপ বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর অপপ্রচার চালানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সভা করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় বিদ্যালয় হলরুমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উখিয়া ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম মাহাবুব প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারী শিক্ষা প্রসারের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ, দলের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি সুকৌশলে হিলটপ বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপক্ষে অবস্থান করে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মুজিব আর্দশের সৈনিকরা বেঁচে থাকতে তা কখনো সফল হতে দেবে না।
গুটি কয়েক জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা হিলটপ বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপক্ষে অবস্থান করে ভুল তথ্য দিয়ে নাজনীন সরওয়ার কাবেরী আপাকে ফোন করছেন। সেসব তথ্য যাচাই না করে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরোদ্ধে ভুল তথ্য উপন্থাপন করেন। কারা কারা কাবেরী আপাকে ফোন করেছেন সেই তথ্য আমাদের হাতে আছে। প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে বাধ হবো।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ও উখিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রকারীরা ভুল তথ্য উপস্থাপন করে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর ফেসবুক পেইজ থেকে ৫ আগস্ট এ বিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু অসত্য তথ্য প্রচার করেছেন। যা আমার ও আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এ অপপ্রচারে বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সচেতন মহলকে বিদ্যালয় পরিদর্শন করে সঠিক তথ্য জানার জন্য আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম আজাদের সহযোগিতায় হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ক্লাশপাড়ার মতো একটি পশ্চাৎপদ এলাকায় নারী শিক্ষার উন্নয়নে ২০০১ সালে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী তুলনায় পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যহৃত হয়। অনেক প্রচেষ্টার পর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি ভবন অনুমোদন হলেও কতিপয় যড়যন্ত্রকারী ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছে।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা ইয়াছমিন তৃষ্ণা, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী আব্দুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক জসিম আজাদ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ইমন, মোঃ সাহাব উদ্দিন, মোঃ আলী, মোঃ মুজিবসহ বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
Discussion about this post