বিডি দর্পণ ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে আটকের সংবাদ পেয়ে ছাতকে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে থানা, দোকান হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ছাতক থানার এসআই আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে শতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৮-৯ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে পৌর শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট ও গণেশপুর খেয়াঘাট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৫ পুলিশ, হেফাজতকর্মী ও পথচারীসহ অন্তত ৩০ জন লোক আহত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে পৌর শহরে। মিছিলে মিছিলে উত্তাল ছিল পৌর শহর। পুলিশ হেফাজতে ইসলামের মিছিলে বাধা দেয়ার ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪০ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
আহত পুলিশ সদস্য রাকিব উদ্দিন,সাইদুল ইসলাম, দিলশাদ মিয়া, রবিউল আলম, সুবল দাসকে ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শনিবার রাতে থানা, দোকানপাট ভাংচুর হামলা লুটপাটের ঘটনায় পুলিশের এসআই আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে শতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৮-৯ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।
আটককৃত রাজন আহমদ (১৯), সুমন (২৯), সামছুদ্দীন (১৯), মোস্তাফিজুর রহমান (২০), জনি আহমদ (১৯), একরান উদ্দিন (২০), আলী হোসেন (২৫), জয়নাল আবেদীন (২০), আবুল হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শহরের কয়েকটি দোকান হামলা ও ভাংচুর লুটপাট করে তাণ্ডব চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে ৯ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দীন জানান, মিছিলকারীরা থানায়ও হামলা করে থানার জরুরি সেবা বক্সে ইট-পাটকেল ছুড়ে ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। পৌর শহরে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। থানায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
Discussion about this post