সৈয়দ আলম •
টেকনাফে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং হ্নীলা শাখার অফিস হতে ইনচার্জ আমান ওয়াহিদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হ্নীলা সিকদার প্লাজার ২য় তলায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং হ্নীলা শাখা অফিস (১০নং) কক্ষের তালা ভেঙ্গে অফিসের ইনচার্জ ও সাবরাং মুন্ডার ডেইলের বাসিন্দা মৌলভী ছৈয়দ আহমদের পুত্র আমান ওয়াহিদ (৩০) এর অচেতন দেহ উদ্ধার করে হ্নীলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়।
মৃত্যুকালে সে স্ত্রী, মা-বাবা, ৪ ভাই, ৫ বোন, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব ও আত্বীয় স্বজন রেখে যান।
সম্প্রতি জুন ক্লোজিং, করোনা আতংক ও যানবাহন সংকটের কারণে সে গত ৩দিন ধরে বাড়িতে যায়নি। সে রাতে হ্নীলা ষ্টেশনের বৈশাখী রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাওয়ার সময় হঠাৎ মাথাব্যথা অনুভব করে। সে দ্রুত এজেন্ট ব্যাংকিং হ্নীলা শাখা অফিসে অবস্থান নেয়। এরপর রাত ২ টায় ব্যাংকের কর্মকর্তা ফায়সাল উদ্দিন খোকার সাথে কথাও বলেন খারাপ লাগছে বলে।
সকাল পৌনে ১০টা হলেও অফিস না খোলায় সহকর্মীরা ডাকাডাকি শুরু করে। এতে কোন ধরনের সাড়া শব্দ না পেয়ে তালা ভেঙ্গে অফিসের ভেতরে ঢুকে সাড়া-শব্দ ছাড়া দেওয়ালে ঠেস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়। অনেকের ধারণা সে হার্টস্ট্রোক করেছে। বিকাল ৫টায় তার গ্রামের বাড়িতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে ব্যাংক ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমান ওয়াহিদ একসময় সাংবাদিকতাও করতেন। তিনি স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় ব্যাংকে চাকরীর আগে সুনামের সহিত কাজ করেছিলেন।
Discussion about this post